অবিশ্বাসের চোরাবালিতে আমরা জগতে আমাদের মর্যাদা হারিয়েছি : শিমুল বিশ্বাস

সমাচার প্রতিবেদন:

বিআইডব্লিউটিএ এর সাবেক চেয়ারম্যান ও এবি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এ্যাড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস পাবনায় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৭ আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসব প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বলেন, আজকে অনৈক্যর কারণে বিভেদ আর অবিশ্বাসের চোরাবালিতে আমরা জগতে আমাদের মর্যাদা হারিয়েছি। এই উপহাদেশে মোঘল এসেছে পাঠান এসেছে এই বাংলা সব সময় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ঠাকুর ব্যক্তিগত জীবনে তার সমস্ত সম্পদ, তার সমস্ত জ্ঞান উজাড় করে আমাদেরকে তার বানী দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যদি আমরা আমাদের পুরনো সম্মান বাংলার ঐতিহ্য জগতের বুকে নতুন করে সম্মানের আসনে নিজেদের প্রতিষ্টিত করতে চাই, এই জগতে পালনকর্তা, বিধাতা যে অফুরন্ত সম্পদ দিয়েছেন, আমরা সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাষ্ট্র এবং সরকার পরিচালনা করলে এবং ভালোবাসা দিয়ে বাংলাকে তার পুরনো মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো। তিনি ভক্তদেরে উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমাদের অতিথি আর অতিথি নারায়ণ। কিভাবে আমরা আপনাদের সম্মান, নিরাপত্তা ও ভালোবাসা দিয়ে আপনাদেরকে আবদ্ধ করে রাখতে পারি, ঠাকুরের এই ধামে।  

পাবনার হিমাইতপুর পুণ্য দোল-পূর্ণিমা তিথিতে তিন দিন ব্যাপী উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সৎসঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শ্রী প্রাণ শঙ্কর দাস এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রেজিনূর রহমান, পাবনা প্রেস কাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, সাবেক সম্পাদক আঁখিনূর ইসলাম রেমন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিনয় জ্যোতি কুন্ডু, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি শ্রী প্রভাস ভদ্র। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সৎসঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী তাপস চন্দ্র বর্মন। এছাড়াও ধর্মীয় আলোচকবৃন্দ আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড. নরেশ চন্দ্র মধু।

গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে গতকাল শনিবার তিন দিন ব্যাপী এই উৎসব শেষ হয়। আয়োজকরা জানান, তিন দিন ব্যাপী মহাৎসবের অনুষ্ঠানমালায় থাকছে ধর্মসভার পাশাপাশি শ্রীশ্রঠিাকুরের জন্মস্থান প্রদণি, ঋত্বিক পরিষদ সভা, যুব সম্মেলন, ঋত্বিক সম্মেলন, কিশোরমেলা, মাতৃ সম্মেলন, কর্মী সম্মেলন, আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ ও রাতে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান। তিন দিন ব্যাপী এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ১ লক্ষ ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে এক মিলোনমেলায় পরিনত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *