জীবনটাকে দ্যোতনবিভায়
দীপ্ত করতে চাস্ যদি,
ইষ্টার্থেরই সার্থকতায়
ব্যাপ্ত থাকিস্ নিরবধি।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৫, জীবনবাদ-৭১
চালচলন আর কথাবার্ত্তা
যেখানে যেমন করতে হয়
তৃপ্তি পেয়ে নাচে হৃদয়,
সুষ্ঠু ব্যাভার তা’কেই কয়।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৫, সংজ্ঞা-৪০
কোন্ বেকুব শিখিয়ে দেছে
আর্য্য যা’রা পৌত্তলিক,
পুতুল-পূজো করে না তা’রা
পূজক আপ্তবীর-প্রতীক;
ভরদুনিয়া দেখ্ খুঁজে তুই
স্মারক-পূজক কেই বা নয়,
যা’র যেমনটি লাগে ভাল
তেমনি পূজোয় সবাই রয় ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-১, আৰ্য্যকৃষ্টি-১১
ইষ্টার্থতে চৌর্য্যপ্রীতি
সর্ব্বনাশের উছল ধৃতি।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৭, বিধি-৫৮
বিহিতভাবে শ্রম ক’রে তুই
শ্রমনেশাতে মত্ত হোস্,
শ্রমের মাতাল হ’বি তখন,
করবে না শ্রম তোরে বেহুঁস্ ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৫, স্বাস্থ্য ও সদাচার-৪
লোভানির এক হুম্কি দিয়ে
কুলাচার আর নিষ্ঠার প্রভাব
ভাঙ্গে যা’দের, ঠিকই জানিস্—
অমনতরই খিন্ন স্বভাব।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৩, চরিত্র-৭
ইষ্টে যদি না থাকে নিষ্ঠা
নির্দেশ অনুশীলন করবে কে ?
নিষ্ঠাতেই তো ইষ্ট প্রতিষ্ঠ
অনুশীলনও সেই সম্বেগে ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৪, নিষ্ঠা-২৮
মিত্রদ্রোহী কৃতঘ্ন যেই
বিশ্বাসঘাতক,
জানিস্ তা’র আছেই কিন্তু
অনন্ত নরক ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-১, লোকচরিত্র-১৪
বোধিদীপ্ত রঞ্জনাটি
ধৃতিপথে নিয়ন্ত্রণ
করবে যেমন বিহিতভাবে,—
পাবেও তেমনি তা’র বরণ ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৬, আত্মনিয়ন্ত্রণ-৪
ইষ্টনিষ্ঠ ভাববৃত্তির
উল্টো গেলেই মন,
হোক না যা’ তা’ ইষ্টার্থেতেই
করবি নিয়োজন।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-২, প্রবৃত্তি-৫৪