কমিয়ে দে তুই শক্ত কথা
হিতে নেহাৎ বলিস্ রে তা’,
ফুল্লদীপী তুষ্টি-পোষণ
রাখুক ধ’রে তোর সততা।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৩, ব্যবহার-৬৪
ব্যাধিমুক্ত গুরু ছাড়া
কারু এঁটোই খেতে নাই,
এতে কিন্তু ধ’রেই থাকে
জীবনভরই রোগবালাই।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-১, স্বাস্থ্য ও সদাচার-৫৯
বিপ্র ক্ষত্র বৈশ্য শূদ্র
যে চাহুক সৎসংহতি,
সহবর্ণে নিতেই হবে
নইলে রুদ্ধ তা’র গতি ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-১, সমাজ-২৯
বিশেষ দ্যোতন-অধিকৃতি—
সমাহারী মেলন-তালে
সার্থকতার সন্দীপনায়
জন্মে থাকেন মায়ের কোলে।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৩, প্রজনন-২৬
ধারণ-পালন প্রীতির নেশায়
স্বভাব-চর্য্যা হয় রত,
ব্যাপ্তিতে তুই উছল হ’য়ে
সব প্রাণেতে থাক্ নিয়ত।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৩, সেবা-৯৩
যা’ সব শ্ৰেয় সব ক’রে যাও
গুপ্ত রেখে মন্ত্রণা,
বলার যা’ তা’ সব ব’লে যাও
সেধে মন্ত্রব্যঞ্জনা।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৬, রাজনীতি-১২
না থেকে তো হয় না রে হাঁ,
না কিন্তু হওয়ারই ছেদ;
না-টাই তো সব বিষয়ে
সৃষ্টি ক’রে চলেই ভেদ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-২, দর্শন-১১
হাতে-কলমে ইষ্টসেবাই
কৃতিদীপ্ত ঊৰ্জ্জনায়,
হৃদয়টাকে সবল করে
নিদেশবাহী বর্দ্ধনায় ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৬, সাধনা-৬১
আচার্য্য-ইষ্টে ত্যাগ ক’রে তুমি
লক্ষ স্বর্গে যাও না কেন,
ফাঁকা বুকের বাঁকা বোধে
ব্যর্থ সকল সাধনা জেনো।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৭, সাধনা-৩১
দেখাশুনা-বলাটাকে
সঙ্গতিশীল করবি এমন,
যা’তে কেউই ভ্রান্ত হ’য়ে
অপদস্থ না হয় কখন।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৫, নীতি-৪৮