সঙ্কল্প যা’ আসল মনে
যেমনতর সিদ্ধান্ত হ’ল,
অমনি তাতে লেগে গিয়ে
নিষ্পাদনের পথে চ’লো ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৪, কৰ্ম্ম-৭১
ধর্ম্মঘটের ঘোঁট পাকিয়ে
বিনা পোষণে টাকা আদায়,
চর্য্যাহারা স্বার্থলোলুপ
শোষক তা’রা বাস্তবতায় ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৪, রাজনীতি-৭৯
অকৃতজ্ঞ দেখবি যা’রা—
কথার নেইকো ঠিক,
ভদ্ৰ-শূদ্র হো’ক না যে সেই
আসলে বেল্লিক।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-২, চরিত্র-১০৬
শাসন-তোষণ যাই করুন না—
আচার্য্য তোমায় যেমনতর,
আশীৰ্ব্বাদ তা’ ঠিকই জেনো
থাকলে তাঁতে শিষ্ট দড়,
ব্যতিক্রান্ত না হও যা’তে
আসল কথা সেইখানে,
শাসন-তোষণ সুষ্ঠু করবে
তোমায় জেনো সেই টানে ;
ঠিক থাকিস্ তুই, বিক্ষেপ যেন
কোথাও কখনও না আসে,
ধৈর্য্য ধ’রে তীব্র তেজে
লেগে যা’ তুই সেই তলাসে,
সব সময়ে অস্খলিত
নিদেশ মানন বোধ রেখে
চলতে থাক্ তুই শিষ্ট তালে –
আগে-পিছে সব দেখে,
যেথায় যেমন করা উচিত
যেথায় যেমন থাকতে চাস্,
সুষ্ঠুভাবে বিনায়নে
তেমনতরই সেদিকে যা’স্,
ইষ্টকেন্দ্র অটল রেখ
চলিস্ সুষ্ঠু নিটোলভাবে,
চরিত্রটি এমনি ক’রেই
উঠুক জেগে ধাপে-ধাপে,
আত্মদর্শন অন্তর-দেখায়
ফুটন্ত হো’ক ক্রমে-ক্রমে,
ব্যাপনদীপ্তি ছিটিয়ে পড়ুক
সুষ্ঠু তালে দমে দমে,
ক্রমে-ক্রমে বাড়তে থাক্ তুই
কৃতিদীপ্ত মুখর হ’য়ে,
কৃতিপথে এগিয়ে চল্ তুই
ইষ্টনেশার দড়ি ব’য়ে ।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৬, সাধন-১২৪