বোধে-ভাবে যা’ আসে
বিচারণায় ঠিক রেখো তা’,
সামঞ্জস্য-সংবেদনায়
সময় পেলেই ক’রো সেটা,
“কিন্তু’ ব’লেই থেমে যেও না,—
ঊর্জ্জীতেজা পরাক্রমে
ধীইয়ে-ধীইয়ে যেমন পার
তেমনি কর ক্রমে ক্রমে,
বুঝলে-সুঝলে সবই করলে
কিংবা হয়তো বুঝলে না,
শোনায় বলায় মজলো আসর
‘কিন্তু’ বুলি ছাড়লে না;
ঐ ‘কিন্তুকে’ প্রশ্রয় দিলে
জন্তুত্ব তোর ছাড়বে কি?
করার পথে পড়লো দাঁড়ি
উছল কি তোর হ’ল ধী?
‘কিন্তু’ বলা ছেড়ে দিয়ে তুই
ভাবায়-করায় ভালই করিস্,
এমনি করেই ক্রমে ক্রমে
ভালর আওতায় যা’ তা’ই ধরিস্;
ধৃতিপথে অমনি ক’রেই
অটুট নিষ্ঠায় চলতে হয়,
নিষ্ঠা-আনুগত্য-কৃতি
ব্যক্তিত্বটার আনেই জয়।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৩, মনোবিজ্ঞান-৭২
ঊর্দ্ধ্বেতে ঐ তাকিয়ে দেখ্ না—
শিবের তাণ্ডব নৃত্য কেমন,
ধীইয়ে দেখে নে না বুঝে
জীবনদ্যুতি কোথায় কেমন!
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-৫, জীবনবাদ-৮৩
কথায়-কাজে মিল আর
কুশল ব্যবস্থিতি,
ঐ তো সাক্ষী চরিত্রের
কেমন অবস্থিতি।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-২, চরিত্র-২৩
জীবনবেদী সত্তা যে তোর
ঐতিহ্যটা তা’রই বেদী,
কৃষ্টি-পথে ওঠ না হেঁকে
অজান যা’ তা’র মর্ম্ম ভেদি’।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-২, আৰ্য্যকৃষ্টি
শ্রেয়-বনামে অশ্রেয়কে
শ্রেয় ব’লে জাপ্টে ধরে,
প্রবৃত্তিরই দাউ-দহনী
তৰ্জ্জনা তা’য় নিকেশ করে।
-শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
অনুশ্রুতি-২, প্রবৃত্তি-১২