অনুশ্রুতি : ছড়াবাণী “বিজ্ঞান”

শরীর-প্রাণের সঙ্গতিতে ধূতি যেমন বিকাশ পায়, কৃতি-আবেগও তেমনতরই সোজা কিংবা বাঁকা ধায়।-৩১

নিষ্ঠা-অনুগতি-কৃতির চলাচলনও যেমনতর, বিধান-সংহতির তালে-বেতালে সন্দীপিতও তেমনতর।-৩২

রেতঃ কিন্তু সক্রিয়ই থাকে, ডিম্বকোষ রয় সুপ্ত, এ দু’য়ের সঙ্গমে শরীর জীবনে অভিদীপ্ত।-৩৩

ডিম্বকোষ রেতঃধৃতি যা’র বিভাজনে দেহ ও প্রাণ, ধ’রে রাখে বিহিত চলায় বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিষ্ঠান।-৩৪

সব-কিছুরই জীবন আছে নিয়ে তা’দের থাকার দ্যুতি, বিশেষ বৈধী বিনায়নে হয়ই বিশেষ পরিণতি; সমাবেশ যদি করতে পার বিধান-বস্তুর এমনতর, এতেও জীবন পেতে পার হ’লে সমাবেশে সুতৎপর; সমাবেশটা করলে এমন বৃদ্ধও যুবাহ’তে পারে, জেনে-শুনে বিধায়নায় সুসঙ্গত করলে তা’রে।-৩৫

প্রাণনধারার সঙ্গে যেমন শরীর সম্বন্ধ ওতপ্রোত, ঐ সঙ্গতির ভাব-দীপনাই নিষ্ঠা ব’লে অভিহিত; ঐ স্রোতেই শরীর-সঙ্গতি যেমনতর সন্দীপিত, তা’ হ’তেই কিন্তু অনুগতি-বিধান হ’য়েই থাকে সুসম্ভূত।-৩৬

প্রাণন-স্পন্দন জীবনধারা আছে তোমার বুঝতে পেলেই, ধারণ-পালণ-শক্তি-সত্তা এটাও কিন্তু ধরতে পাবেই; ধারণ-পালন-সম্বেগই ঐ জীবনীয় গতি-স্পন্দন যা’র চলনে তোমার জীবন, যা’য় দাঁড়িয়ে তোমার বর্দ্ধন।-৩৭

কারক গ্রহ তারা-চন্দ্র যখন যেমন শুভ রয়, তেমনি দিনে কাজ আরম্ভে প্রায়ই জানিস শুভ হয়।-৩৮

জ্যোতির্ব্বিজ্ঞান শিখতে গেলে গ্রহের ভাতি বিভূতি সব, কোথায় কেমন করছে ক্রিয়া দেখ বোঝ কর অনুভব; অনুভূতির সুসমাহার ব্যষ্টি-সমষ্টি সব নিয়ে, বিশেষে বা হ’চ্ছে কেমন সমষ্টিটার সব বিনিয়ে; সমষ্টিগত ব্যষ্টি যা’-সব কখন বিভব কেমন হয়, কখন কেমন রূপে দাঁড়িয়ে কী বর্ত্তনায় কোথায় ধায়! বিশেষ জ্ঞানে এমনি হ’য়ে বিশেষত্ব নাও খুঁটে, ব্যক্তিত্ব তোমার বিজ্ঞ হ’য়ে শিষ্টভাবে উঠুক ফুটে।-৩৯

শ্রেয়নিষ্ঠ ভক্তিটি নিয়ে চললে বিজ্ঞান ঐ পথে, সব-সমাহারী সঙ্গতি নিয়ে সার্থক হ’য়ে ওঠে তা’তে’ প্রতিটি ব্যষ্টি-সৃষ্টির সাথে সঙ্গতিশীল মন্দ-ভালোয় সংহতি নিয়ে সংযতপ্রাণে দাঁড়া না বিজ্ঞান সেই আলোয়।-৪০  

—- শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *