জীবন চর্য্যা সবার সেরা ঈশ্বরই যার প্রধান পুরুষ সেই চর্য্যাই তো ধর্ম্মচর্যা- বাঁচে-বাড়ে সকল মানুষ।-৫১
সত্তাবাদই সেরা বাদ উৎস যাহার ঈশ্বরে, ধারণ-পালন সন্বেগ যাহার চেতন রাখে নম্বরে।-৫২
ঈশ্বরে তুই নাই বা মানিস অস্তিত্বকে বুঝিস তো? পালণ-পোষণ অস্তিত্বে করা ধর্ম্ম বলে তাকেই তো।-৫৩
শরীর-মনে ক্রিয়া-কলপে সত্তাপোষী যা’ সেইটি জানিস আসল বিধি অন্য কিছু না।-৫৪
কৃষি, কৃষ্টি নিয়ে চলিস যা’তে তোরা বেঁচে থাকিস, কৃতি দক্ষ সৎদীপনায় নিজ-পরিবার গ’ড়ে তুলিস, বন্ধুপ্রীতি পরিচর্য্যা জনচর্য্যা নিয়ে চলিস, প্রিয়ের ঘরে তোর বসবাস তাঁর পথেতেই জীবন পালিস।-৫৫
জীবন চায় তোর থাকতে কিন্তু চায় কি কেউ নিকেশ হতে? উদ্বর্ধ্বনার অনুতপায় চায়ই সবাই বৃদ্ধি পেতে।-৫৬
প্রদীপ হাতে চ’লছে দেখ না এ’ চেরাকী ফকির-জন, জীবন-আলোও চল দেখে চল স্নিগ্ধ ক’রে সবার মন।-৫৭
ইষ্টনির্দেশ আঁকড়ে ধরবি স্বাস্থ্য-নীতি তা’র মাধ্যমে, কৃতিনীতির নিষ্পাদনায় মগ্ন থাকিস এই ধরমে।-৫৮
জীবনটা তো খেলার নয়কো হেলাফেলার নয়কো সেটা, বাঁচাবাড়াই পরম স্বার্থ বোঝে না এমন মূর্খ কেটা?-৫৯
সত্তা যখন বিব্রত হয় হাত বাড়ায় সে বাঁচার তরে, প্রকৃতি এ পরম আবেগ হৃদয় দিয়ে প্রকাশ করে।-৬০
—- শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।