“বিভু যেমন অণুর অণু মহৎ হয়েও অতি মহান, তোমার স্বভাব তেমনি রে হোক রেখে তেমনি বিপুল প্রাণ।”-৪১
“যারাই জানিস গুরু ধরে মান-যশ আর অর্থ লোভে, ফাঁকিবাজির উদ্দীপনায় বেঘোর পাঁকে তারাই ডোবে।”-৪২
“একেই যারা বহু দেখে তাৎপর্যেরই তত্ত্ব নিয়ে, সঙ্গতির ঐ সার্থকতায় সবই জাগে ফিনিক দিযে; তীব্রতর ওঠনা হ’য়ে দিব্য রেখে হৃদয়খান, অন্ধতমস কাটবে স্বতঃই অমৃতে কর অভিযান।”-৪৩
“যতই আঁধার ঘনিয়ে আসুক তারার দঙ্গল তেমনি ফোটে, তপোদীপ্ত না হলে কি ওদের বিভা অমনি জোটে?”-৪৪
“সৌরজগৎ দেখছ কেমন! ঐ তপনের সন্ততি,- তারই কিন্তু স্নেহল টানে নিয়ন্ত্রিত তাদের গতি; ইষ্টনিষ্ঠ যে হয় যেমন মন, বিবেক আর বৃত্তি নিয়ে, তপের টানেই সে ঠিক থাকে ঐ তপনে হৃদয় দিয়ে।”-৪৫
“প্রাণের যেথায় প্লাবন আনে হৃদয় ধ’রে তুলে এইটুকুই তো লুকিয়ে আছে তীর্থ করার মুলে।”-৪৬
“কাম-আবেশে স্ত্রী-পুরুষে যেমন করে উপভোগ, প্রেষ্ঠ কাজে বাস্তবতায় তেমনি হলে তবেই যোগ।”-৪৭
“যা নিয়ে তুই থাকবি মেতে যোগ হবে রে তাতেই তোর। ফলও পাবি তেমনি রে তুই তেমনি জানায় থাকবি ভোর।”-৪৮
—- শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।