“সাধবি যা তুই সাধলি না তা’ যাচ্ছে জীবন ব’য়ে, উন্নতি তোর অবশ হলো জনম-মরণ স’য়ে।”-৩১
“চেষ্টা অনেক তেষ্টা মেটায় নিষ্ঠা মাফিক রোধবিবেকে, ভাবাচলা ও তেমনতরই আগ্রহ নিয়ে চলতে থাকে।”-৩২
“সাধনা মানে সেধে নেওয়া স্বরণ-মনন-করণেতে, অভ্যাসেতে স্বতঃ হ’লে সিদ্ধ হয়ে ওঠে তা’তে।”-৩৩
“ভাবতে ভাবতে আসে ধ্যান, করতে-করতে আসে জ্ঞান।”-৩৪
“নিজের বিচার নিজেই ক’রে নিজেকে শাসন নিজেই কর, আত্মশাসন অনুনয়নে স্বস্তি চর্যা অটুট দর।”-৩৫
“নিজেকে বিচার করতে জানে না অন্যের বিচার করবে কে? বিচারের নামে অবিচারই বাড়বে ক্রমে তাকে-তুকে।”-৩৬
“ঢলঢলে ঐ চাঁদাটি কেমন উঠল ফুটে ঐ গগনে, ইষ্টনিষ্ঠ ভরা বুকে ওঠ না থেকে কেই গগনে।”-৩৭
“মাকড়সাগুলি দেখছ কি? কেমন সুন্দর জাল বোনে, জাল বুনে তা’রা ব’সে থাকে দেখো- কিন্তু মাঝখানে; তুমিও তেমনি শরীর যন্ত্রের নিষ্ঠা-নিপুণ কেন্দ্রে থাকো, কেন্দ্রের অনুপাতে যা -সব করণীয় করতে ভুলো নাকো।”-৩৮
“সংশয় যত ছিন্ন ক’রে দৃঢ় প্রত্যয় যখন হবি, সব দুনিয়ায় লাগবে রে তাক দেখে তোরই মুখর ছবি।”-৩৯
“পাখীও কত পড়ে-করে শিখতে করে সাধনা, তুই কি ভাবিস- এমনি বর্বর করতে কিছু পারবি না?”-৪০
—- শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।