সমাচার প্রতিবেদন :
আজ রবিবার থেকে পাবনার হিমায়েতপুরে পুণ্য দোল-পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬তম আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসব শুরু হলো। তিনদিনের মহোৎসব উপলক্ষে পাবনার হিমাইতপুর আশ্রম প্রাঙ্গনে লাখ ভক্তের মিলন মেলায় পরিণত হতে চলেছে। দেশের বিভন্ন জেলা এবং দেশের বাইরে থেকে ভক্তবৃন্দ আসতে শুরু কেরেছেন।
উৎসবের প্রথম দিন আজ সন্ধ্যায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পাবনার জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান।বিশেষ অতিথি থাকবেন পাবনার পুলিশ সুপার মো: আকবর আলী মুনসী বিপিএম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ পাবনার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্রী চন্দন কুমার চক্রবর্তী, ইউনিভার্সাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সোহানী হোসেন, পাবনা জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান বিজয় ভূষণ রায়, পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: শাফকাত ওয়াহেদ, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ.বি.এম ফজলুর রহমান, পাবনা জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র ভদ্র, হিন্দু মহাজোট পাবনা জেলা শাখার আহবায়ক আশীষ কুমার বসাক।
আয়োজকরা জানান, তিন দিনের মহোৎসবের অনুষ্ঠানমালায় থাকছে ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, তারকব্রহ্ম নাম সঙ্কীর্তন, সকাল-সন্ধ্যা বিরতিহীন নাম-ধ্যান, সমবেত প্রার্থনা, সদ্গ্রন্থাদি পাঠ, ভক্তি সংগীত, পুরুষোত্তমের আবির্ভাবলগ্নের স্মতিচারণ। (পুষ্পাঞ্জলি, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, শঙ্খধ্বনি, বন্দেপুরুষোত্তমম্ ধ্বনি ও উলুধ্বনি) বিশ্ব কল্যাণে বিশেষ প্রার্থনা, পুরুষোত্তম প্রণাম ও অর্ঘ্যাঞ্জলি নিবেদন। জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে জাতীয় পতাকা ও মাতৃবন্দনা সহযোগে সৎসঙ্গ পতাকা উত্তোলন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা, লীলাকীর্ত্তন, শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ৫৩৯ তম আবির্ভাব দিবসের পুণ্যলগ্নের স্মৃতিচারণ, শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্মস্থান প্রদক্ষিণ ও শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রতিকৃতিসহ আশ্রম অঙ্গন প্রদক্ষিণ, কিশোরমেলা, ঋত্বিক সম্মেলন, মাতৃ সম্মেলন, যুব সম্মেলন, প্রার্থনান্তে ধর্মসভা, আন্দোবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ, রাত্রে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান।
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গের পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোপীনাথ কুন্ডু বলেন, এবারের আয়োজন অন্যান্যবারের চেয়ে আর সুন্দর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঠাকুর ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন। এই উৎসবে দেশ-বিদেশের ভক্তদের আগমন হয়। প্রায় লক্ষাধিক ভক্তের পদচারণায় মুখরিত হবে আশ্রম প্রাঙ্গণ।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, উৎসব ঘিরে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহত করতে নানা স্তরের নিরাপত্তা বাহিনী সচেষ্ট থাকবে। সবার সহযোগিতায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্নভাবে উৎসব উদযাপিত হবে।