“হিমায়েতপুর সৎসঙ্গ আশ্রমকে পুণ্যক্ষেত্র ব’লে মনে হয়। ঐ জঙ্গলে ব’সে যে-জিনিস গজিয়ে উঠেছিল তার মূল্য আমি নিজেও তখন ভাল ক’রে বুঝতে পারিনি। কিন্তু যে-জিনিস ওখানে ব’সে পেলাম, তা’ থেকেই তো সব। কতবার কতভাবে ক’লাম, তবু শেষ হলো না, আর শেষ হবেও না, কোনদিন- যদিও বলি আমি একই কথা, যা’ আমি নিজের জীবন দিয়ে পেয়েছি। এ যে অফুরন্ত, তাই তো বলে অমৃত। কত নাম, কত ধ্যান, কত তপ ওখানে হয়েছে- ওখান থেকেই সব evolve করেছে (গজিয়েছে)। যে-মাটিতে এই সব হয়েছে সে মাটি সামান্য নয়, তা পৃথিবীর মহাতীর্থ।”
আলোচনা প্রসঙ্গে, সপ্তদশ খন্ড, পৃষ্ঠা ১১৯-১২০