সমাচার প্রতিবেদন :
পুণ্য দোল-পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৭তম শুভ আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসব উপলক্ষে আশ্রম প্রাঙ্গনে চলছে প্রাপক পুস্তুতি। পাবনার হিমাইতপুরে আশ্রম প্রাঙ্গনে আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) থেকে শুরু হয়ে তিনদিন ব্যাপী চলবে এই উৎসব। ইতোমধ্যেই মহোৎসবকে ঘিরে সাজসাজ রব পরে গেছে। সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে উৎসব পালনের জন্য সৎসঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং আশ্রম কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তিন দিনের অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ শিশির মনির। বিশেষ অতিথি থাকবেন পাবনা ইসলামীয়া মাদ্রাসা, দারুল আমান ট্রাস্টের অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদলতের অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. মলয় কুমার দাসরায়, পাবনা প্রেস কাবের সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু। এছাড়াও ধর্মীয় আলোচকবৃন্দ আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোচনা করবেন।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন বিআইডব্লিউটিএ সাবেক চেয়ারম্যান ও এবি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এ্যাড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি থাকবেন পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, পাবনার পুলিশ সুপার মো: মোরতোজা আলী খাঁ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিনয় জ্যোতি কুন্ডু, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি শ্রী প্রভাস ভদ্র। এছাড়াও ধর্মীয় আলোচকবৃন্দ আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোচনা করবেন।

আয়োজকরা জানান, তিন দিন ব্যাপী মহোৎসবের অনুষ্ঠানমালায় থাকছে ধর্মসভার পাশাপাশি ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, তারকব্রহ্ম নাম সঙ্কীর্তন, সকাল-সন্ধ্যা বিরতিহীন নাম-ধ্যান, প্রভাতে এবং সন্ধ্যায় সমবেত প্রার্থনা, সদ্গ্রন্থাদি পাঠ, ভক্তি সংগীত, শুভ অধিবাস, বিশ্বকল্যাণে বিশেষ প্রার্থনা, পুরুষোত্তমের শুভ সপ্তত্রিংশতী-উত্তর শততম জন্মলগ্নের স্মৃতিচারণ, (পুরুষোত্তমের দিব্য তনু স্মরণে ৮১ বার পুষ্পাঞ্জলি, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, শঙ্খধ্বনি, পুরুষোত্তম প্রণাম ও অর্ঘ্যাঞ্জলি নিবেদন), জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে জাতীয় পতাকা ও মাতৃবন্দনা সহযোগে সৎসঙ্গ পতাকা উত্তোলন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা, লীলাকীর্ত্তন, শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ৫৪০ তম আবির্ভাব পুণ্যলগ্নের স্মৃতিচারণ, শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্মস্থান প্রদণি, ঋত্বিক পরিষদ সভা, যুব সম্মেলন, ঋত্বিক সম্মেলন, কিশোরমেলা, মাতৃ সম্মেলন, কর্মী সম্মেলন, আন্দোবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ ও রাত্রে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান।
তিন দিনর এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ধর্মসভা। যার আলোচ্য বিষয় থাকবে- “দোল-দীপালীর প্রাণনদীপনায় পরমতীর্থ”, “সৎসঙ্গ নিবন্ধনের শতবর্ষ উদ্যাপনে সাংগঠনিক কর্মসূচি প্রণয়ন”, “নিবন্ধনের শতবর্ষে সৎসঙ্গের ভূমিকা” ও “বাঁচা বাড়ার মর্ম যা, ঠিকই জানিস্ ধর্ম তা”।
সৎসঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস চন্দ্র বর্মণ জানান, এবারে দোল উৎসবে সারা দেশ থেকে বিপুল পরিমান ভক্তবৃন্দ সমবেত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এখন উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যেই আমাদের ৯০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গত বুধবার আমার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছি। এছাড়া প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলার সৎসঙ্গীদের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি সুন্দন ও সুষ্ঠুভাবে উৎসব পালিত হবে।