স্পন্দনবোধী যা’রা যেমন ধরতেও পারে তেমনি তা’রা, ধ’রে-ক’রে উৎসারণায় আনতে পারে তেমনি সাড়া।-২১
খড়ের কুটো নিয়েও যদি ধৃতি-কৃতির সৃসন্ধিৎসায় বিচারণী বিবেকে চলে,- করার মত ফলও পায়।-২২
সাড়া ধড়ার যন্ত্র যদি বিশেষ যা’ তা’ ধরতে পারে, সেই স্পন্দনই বুঝিয়ে দেবে কোথাতে কী রকম ফেরে! স্পন্দন যা’তে যেমন আছে তেমনি সাড়া তা’তে দেয়, সাড়াদক্ষ হ’লে পরেই কে কেমন তা’ বুঝে নেয়।-২৩
জন্ম মানেই জ’মে ওঠা উপাদানের সংহতি, সে সংহতি-জীবন-উৎস ব্যক্ত হ’য়ে হয় ব্যক্তি; ব্যক্ত যা তা’র অন্তরালে থাকেই জীবন-স্পন্দনা, যে-স্পন্দনা বাড়িয়ে তোলে, আনেই জীবন-নন্দনা।-২৪
স্পন্দন-বিভার অনুগতি অঢেলস্রোতা শব্দ-ঢেউ, স্পন্দনেরই মূর্ত্তি শব্দ শব্দ-ধারাই প্রাণন-ঢেউ।-২৫
স্পন্দনাটা যেথায় যেমন মূর্ত্তিও তেমনি গ’ড়ে ওঠে, গড়ার রাগে তেমনি বাগে উপাদানও তেমনি জোটে।-২৬
স্পন্দন-তরঙ্গ যেমনতর উপাদানের আকর্ষক, উপাদান তো তেমন ক’রেই মূর্ত্তনারই সন্দীপক।-২৭
যেথায় যেমন যে-স্পন্দনে সত্তাটির হয় অবস্থিতি, সেই স্পন্দনা আয়ত্ত ক’রে আন জীবনের সুসংস্থিতি।-২৮
স্পন্দনাটার ডাঁটায়ই হয় বার্দ্ধক্যেরই আগমন, অমনি ক’রেই ক্রমে-ক্রমে অস্তিত্বটার হয় বিলোপন।-২৯
সব যা’-কিছুর মূলে স্পন্দন জীবন-প্রভা যা’কে কয়, স্পন্দনবিহীন অস্তিত্বটা কোথায় কিন্তু দেখা দায়।-৩০ —- শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।