অনুশ্রুতি : ছড়াবাণী “ধর্ম”

সত্তা-প্রীতি এতই জীবের বৃত্তি-পাশে রয়না লীন, সবাই যখন এক-আশ্রয়ে আত্মরক্ষায় কাটায় দিন।-৬১

দক্ষ হবার উপায় জানায়, দীক্ষার তাই এত দাম, কৃতিগুরুর কাছে গিয়ে সার্থক কর দীক্ষা-নাম।-৬২

ঈশ্বরেরই দুন্দুভি ঐ ধারণ-পালন-পোষণ-স্রোতা, বেঁচে থেকে বৃদ্ধি পাওয়ায় হচ্ছে যে তার সার্থকতা।-৬৩

ধর্ম্ম যতই ফুটবে তোমার নিষ্ঠানীতি ব্যবহারে, প্রতিষ্ঠাও আসবে তেমনি পারবে নাকো রুখতে তারে।-৬৪

উঠে দাঁড়া, এঁটে দাঁড়া, শোন কী বলে বরেণ্যে, সত্তা সাধায় যাবি কেন বিফল হয়ে অরণ্যে?-৬৫

জীবন নিয়ে বেঁচে থেকে নাস্তিকতার ধূয়ো গও, অস্তিত্বটা নাকচ ক’রে দলছ জীবন দিয়ে পাও?-৬৬

অস্তিত্বতে বজায় থেকে নাস্তিকতার গর্বী তুই, থাকবে কি তোর দেখা না ভেবে, চাস যে ফসল ফেলে ভুঁই।-৬৭

ভেলকি দেখায় যাদুকরে সাধুর কাজ তা নয়কো ওরে! ভেলকি ভেঙ্গে বাস্তবতায় কিসে কী হয়-সাধু ধরে।-৬৮

নিজে যদি কর ধর্ম্ম অন্যকে বাদ দিয়ে, ধৃতি তোমার হীনবল হবে দুষ্ট-সংঘাত নিয়ে।-৬৯

ঈশ্বরেরই দোষ দিলি তুই মতিচ্ছন্ন! ভাবলি না, ইচ্ছা-শক্তি তাঁতে দিয়ে তুই কেন বল চ’ললি না?-৭০

ঈশ্বরেরই ইচ্ছা-স্রোতে কল্যাণেরই অতুল বেগে, চলতে যদি তৃপণ-ঢেউয়ে বাড়ত জীবন কৃতি-যোগে।-৭১  —- শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *