শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসব উপলক্ষে চলছে প্রস্তুতি

সমাচার প্রতিবেদন :

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬তম আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসব আগামী রবিবার (২৪ মার্চ) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। তিনদিনের মহোৎসব উপলক্ষে এখন পাবনার হিমাইতপুর আশ্রম প্রাঙ্গনে চলছে আয়োজনের নানা প্রস্তুতি। শুরু হয়েছে কর্মযোজ্ঞ। উৎসব অঙ্গনে সাজসাজ বর পরে গেছে।

আশ্রম প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা গেছে, আশ্রম আঙ্গনায় বড় বড় প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। চলছে আলোকসজ্জার কাজ। উৎসব চলাকালীন সময়ে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের আগমনকে সামনে রেখে প্রস্তুতির যেন কোন কমতি রাখা হচ্ছেনা।

আয়োজকরা জানান, তিন দিনের মহোৎসবের প্রথম দিন ২৪ মার্চ (রবিবার) ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, সকাল ৫:৪২ মিনিটে সমবেত প্রার্থনা, সকাল-সন্ধ্যা বিরতিহীন নাম-ধ্যান, ভক্তি সংকীর্ত্তন, কর্মী বৈঠক, দুপুরে আন্দোবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ, বিকাল ৩টায় যুবসম্মেলন, রামায়ন গান, সন্ধ্যা ৬:১৫ মিনিটে সমবেত প্রার্থনা, প্রার্থনান্তে ঋত্বিক পরিষদ সভা। এছাড়াও থাকবে ধর্মসভাÑ আলোচ্য বিষয় “সমাজের ও রাষ্ট্রের সুদৃঢ় ভিত্তি রচনায় ধর্মের অপরিহার্যতা” এরপর শুভ অধিবাস, বিশ্ব কল্যাণে বিশেষ প্রার্থনা এবং রাত্রে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান।

দ্বিতীয় দিন ২৫ মার্চ (সোমবার) ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, তারকব্রহ্ম নাম সঙ্কীর্তন, সকাল-সন্ধ্যা বিরতিহীন নাম-ধ্যান, সকাল ৫:৪১ মিনিটে সমবেত প্রার্থনা, সদ্্গ্রন্থাদি পাঠ, ভক্তি সংগীত, পুরুষোত্তমের আবির্ভাবলগ্নের স্মতিচারণ। (পুষ্পাঞ্জলি, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, শঙ্খধ্বনি, বন্দেপুরুষোত্তমম্্ ধ্বনি ও উলুধ্বনি) সমবেত প্রার্থনা, বিশ্ব কল্যাণে বিশেষ প্রার্থনা, পুরুষোত্তম প্রণাম ও অর্ঘ্যাঞ্জলি নিবেদন। জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে জাতীয় পতাকা ও মাতৃবন্দনা সহযোগে সৎসঙ্গ পতাকা উত্তোলন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা, লীলাকীর্ত্তন, শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ৫৩৯ তম আবির্ভাব দিবসের পুণ্যলগ্নের স্মৃতিচারণ, শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্মস্থান প্রদক্ষিণ ও শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রতিকৃতিসহ আশ্রম অঙ্গন প্রদক্ষিণ, সকাল ১০টায় কিশোরমেলা, বেলা ১১ টায় ঋত্বিক সম্মেলন, দুপুরে আন্দোবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ, বিকাল ২:৩০ টায় মাতৃ সম্মেলন, সন্ধ্যা ৬:১৫ মিনিটে সমবেত প্রার্থনা, প্রার্থনান্তে ধর্মসভাÑ আলোচ্য বিষয় “দেশ ও জাতির কল্যাণে শ্রীশ্রীঠাকুরের আদর্শ ও কর্মধারা” এরপর রাত্রে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান।  

তৃতীয় দিন ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, তারকব্রহ্ম নাম সঙ্কীর্তন, সকাল-সন্ধ্যা বিরতিহীন নাম-ধ্যান, সকাল ৫:৪০ মিনিটে সমবেত প্রার্থনা, সদ্্গ্রন্থাদি পাঠ, ভক্তি সংগীত, দুপুরে আন্দোবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যা ৬:১৫ মিনিটে সমবেত প্রার্থনা, প্রার্থনান্তে ধর্মসভাÑ আলোচ্য বিষয় “ঈশ্বর প্রাপ্তিই আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য” এরপর রাত্রে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান।  

তিনদের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আয়োজনকরা আরো জানান, এবছর দোল উৎসবে ভক্তসমাগম বেশি ঘটবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে দেশে এবং দেশের বাইরে থেকেও ঠাকুর ভক্তরা আসবেন। তিনদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে প্রায় এক লক্ষ্য ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটতে পরে বলে আশা করা যাচ্ছে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *